, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
গাইবান্ধায় ধর্ষণের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ ভান্ডারিয়ায় নির্বাচন কমিশনে এনআইডি রাখার দাবীতে অবস্থান কর্মসূচী ও মানববন্ধন বগুড়ায় ট্রাকচাপায় তিন বন্ধু নিহত আইবিসিএফ টাস্ক কমিটির ৪২তম সভা অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সমবায় আন্দোলনের নেতা মোশাররাফ হোসেন শোনালেন গ্রামীণ নারীদের স্বনির্ভরতার গল্প রিফাত চৌধুরীর অসাধারণ সাফল্য: গর্বিত মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিরা, গর্বিত আলীনগরবাসী বঙ্গবীর ওসমানীকে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করায় অভিনন্দন ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষ থেকে  ভান্ডারিয়ায় শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে সিএমএইচে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইসরায়েল

পবিত্র রমজান মাস ও ইহুদিদের পাসওভার উৎসবের সময়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাজি ইসরায়েল। শনিবার মধ্যরাতে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্বের মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় নতুন করে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাজি থাকার কথা জানায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি দেন। প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজায় হামাসের হাতে আটক অর্ধেক জিম্মি প্রথম দিনেই মুক্তি পাবেন।

স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তি হলেই বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন। হামাস এখনো ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ নিয়ে কিছু বলেনি।

নেতানিয়াহুর ডাকা চার ঘণ্টার বৈঠকের পর ইসরায়েল সরকার গাজায় যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব সমর্থন করে। এই বৈঠকে ইসরায়েলি নেতারা যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দাবি করেছে, হামাস এখনো উইটকফের পরিকল্পনাকে সমর্থন করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। গোষ্ঠীটি অবস্থান পরিবর্তন করলে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনা শুরু করবে।

মার্কিন দূত উইটকফের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যদি ইসরায়েল মনে করে যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা সফল হয়নি, তবে ৪২ দিন পর তারা আবার যুদ্ধ শুরু করতে পারবে।

শুক্রবার রাতে হামাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীরা দ্বিতীয় পর্ব বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না দিলে প্রথম পর্বের মেয়াদ বাড়ানোর সম্মতি দেবে না।

যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হয়েছিল। এতে ৩৩ ইসরায়েলি ও পাঁচজন থাই বন্দি মুক্তি পান। বিনিময়ে মুক্তি পান ফিলিস্তিনের এক হাজার ৯০০ বন্দি। যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আলোচনা এখনো প্রায় শুরুই হয়নি।

ট্যাগ:

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

গাইবান্ধায় ধর্ষণের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ

গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ইসরায়েল

আপডেট সময়: ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

পবিত্র রমজান মাস ও ইহুদিদের পাসওভার উৎসবের সময়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাজি ইসরায়েল। শনিবার মধ্যরাতে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্বের মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় নতুন করে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাজি থাকার কথা জানায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি দেন। প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজায় হামাসের হাতে আটক অর্ধেক জিম্মি প্রথম দিনেই মুক্তি পাবেন।

স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তি হলেই বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন। হামাস এখনো ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ নিয়ে কিছু বলেনি।

নেতানিয়াহুর ডাকা চার ঘণ্টার বৈঠকের পর ইসরায়েল সরকার গাজায় যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব সমর্থন করে। এই বৈঠকে ইসরায়েলি নেতারা যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দাবি করেছে, হামাস এখনো উইটকফের পরিকল্পনাকে সমর্থন করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। গোষ্ঠীটি অবস্থান পরিবর্তন করলে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনা শুরু করবে।

মার্কিন দূত উইটকফের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যদি ইসরায়েল মনে করে যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা সফল হয়নি, তবে ৪২ দিন পর তারা আবার যুদ্ধ শুরু করতে পারবে।

শুক্রবার রাতে হামাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীরা দ্বিতীয় পর্ব বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না দিলে প্রথম পর্বের মেয়াদ বাড়ানোর সম্মতি দেবে না।

যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হয়েছিল। এতে ৩৩ ইসরায়েলি ও পাঁচজন থাই বন্দি মুক্তি পান। বিনিময়ে মুক্তি পান ফিলিস্তিনের এক হাজার ৯০০ বন্দি। যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আলোচনা এখনো প্রায় শুরুই হয়নি।