, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশে ফিরেছেন। রাঙামাটির নানিয়ারচরে পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠিত নবীনগরে ১ দিনে আওয়ামীলীগের দুই নেতা রবিউল ও মাঞ্জু গ্রেপ্তার, বৈরী আবওহয়ার মাঝেও খাগড়াছড়িতে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফারদের কর্ম বিরতি প্রত্যাহার মহাসড়কে অবৈধ পশুর হাট বন্ধ করলো প্রশাসন খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস\ দীঘিনালায় নিচু এলাকা প্লাবিত নবীনগরে নসিমন-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক যুবকের, আহত ১ হরিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু যানযট নিরসনে ঈদ উপলক্ষে চলছে মাওনা হাইওয়ে থানার প্রস্তুুতি

নবীনগরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাঁচা বাজারে অস্থিরতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গত ২৯ বৃহস্পতিবার মে থেকে আজ (রবিবার ২ জুন) দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে সদর বাজারে কিছু পণ্য সরবরাহে ঘারতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সবজি বাজারে পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতির কারণে হুট করে কোন কোন সবজির দাম বাড়তে দেখা যায়। সবজি ছাড়া প্রায় সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।
সোমবার (২ জুন) সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। নবীনগর সদর বাজারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর আগের পটল, ঢেড়স ও ঝিঙ্গা ইত্যাদি সবজি প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকার মধ্যে ছিল, দাম বেড়ে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে । এ ছাড়া কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুন বিক্রিহত ৬০-৭০ টাকার মধ্যে,বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কাঁচা মরিচের ঝাজ একটু বেড়েছে আগে প্রতি কেজি বিক্রি হতো ৭৫- ৮০ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। অবশ্য মুরগির দাম একটু কমেছে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে দাম কমেছে ১০ টাকা। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ২০ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৬০ টাকায়। তবে দেশি মুরগির দাম আগের মতই প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। একজন মুরগি বিক্রেতা জানান- “ব্রয়লারের চাহিদা এখন সবচেয়ে বেশি। অনেকে বেশি করে কিনে ফ্রিজে রেখে দিচ্ছেন। তবে ঈদের আগে দাম একটু বাড়বে নিশ্চিত”।

মুরগির দাম কম কমলেও ডিমের দাম সামান্য বেড়েছ। বিক্রি হচ্ছে- প্রতি ডজন ১৩৫-১৪৫ টাকায়। বাজারের একজন পাইকারি ডিম বিক্রেতা বলেন-“বর্ষার এই সিজনে অন্যান্য বছর ডিমের দাম আরো বেশি থাকত”।
নবীনগর বাজারে মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায়। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোন কোন মাছ ধরতে না পারায় মাছের দাম সামান্য বেড়েছে। আজকে বাজারে- প্রতি কেজি রুই মাছ (মাঝারী সাইজ) বিক্রি হচ্ছে ৩০০–৩৫০ টাকায়, কাতল ৩৫০–৪০০ টাকা, পাবদা ৩০০–৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০–৮০০ টাকা, টেংরা ৬০০–৭০০ টাকা, শিং ৩০০–৩৫০ টাকা, কৈ ২৫০–২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০–২২০ টাকা ও পাঙাশ ১৮০–২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি শিং ও কৈ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকায়। তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয় – আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মুরগিসহ সব ধরনের মাংস ও মাছের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। বাজারে সরকারি ভাবে নজরদারি না বাড়ালে এর প্রভাব পড়বে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর।

ট্যাগ:

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

CAPTCHA ImageChange Image

About Author Information

সর্বাধিক পঠিত

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশে ফিরেছেন।

নবীনগরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাঁচা বাজারে অস্থিরতা

আপডেট সময়: ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গত ২৯ বৃহস্পতিবার মে থেকে আজ (রবিবার ২ জুন) দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে সদর বাজারে কিছু পণ্য সরবরাহে ঘারতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সবজি বাজারে পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতির কারণে হুট করে কোন কোন সবজির দাম বাড়তে দেখা যায়। সবজি ছাড়া প্রায় সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।
সোমবার (২ জুন) সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। নবীনগর সদর বাজারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর আগের পটল, ঢেড়স ও ঝিঙ্গা ইত্যাদি সবজি প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকার মধ্যে ছিল, দাম বেড়ে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে । এ ছাড়া কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুন বিক্রিহত ৬০-৭০ টাকার মধ্যে,বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কাঁচা মরিচের ঝাজ একটু বেড়েছে আগে প্রতি কেজি বিক্রি হতো ৭৫- ৮০ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। অবশ্য মুরগির দাম একটু কমেছে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে দাম কমেছে ১০ টাকা। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ২০ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৬০ টাকায়। তবে দেশি মুরগির দাম আগের মতই প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। একজন মুরগি বিক্রেতা জানান- “ব্রয়লারের চাহিদা এখন সবচেয়ে বেশি। অনেকে বেশি করে কিনে ফ্রিজে রেখে দিচ্ছেন। তবে ঈদের আগে দাম একটু বাড়বে নিশ্চিত”।

মুরগির দাম কম কমলেও ডিমের দাম সামান্য বেড়েছ। বিক্রি হচ্ছে- প্রতি ডজন ১৩৫-১৪৫ টাকায়। বাজারের একজন পাইকারি ডিম বিক্রেতা বলেন-“বর্ষার এই সিজনে অন্যান্য বছর ডিমের দাম আরো বেশি থাকত”।
নবীনগর বাজারে মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায়। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোন কোন মাছ ধরতে না পারায় মাছের দাম সামান্য বেড়েছে। আজকে বাজারে- প্রতি কেজি রুই মাছ (মাঝারী সাইজ) বিক্রি হচ্ছে ৩০০–৩৫০ টাকায়, কাতল ৩৫০–৪০০ টাকা, পাবদা ৩০০–৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০–৮০০ টাকা, টেংরা ৬০০–৭০০ টাকা, শিং ৩০০–৩৫০ টাকা, কৈ ২৫০–২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০–২২০ টাকা ও পাঙাশ ১৮০–২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি শিং ও কৈ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকায়। তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয় – আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মুরগিসহ সব ধরনের মাংস ও মাছের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। বাজারে সরকারি ভাবে নজরদারি না বাড়ালে এর প্রভাব পড়বে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর।