, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
আইবিসিএফ টাস্ক কমিটির ৪২তম সভা অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সমবায় আন্দোলনের নেতা মোশাররাফ হোসেন শোনালেন গ্রামীণ নারীদের স্বনির্ভরতার গল্প রিফাত চৌধুরীর অসাধারণ সাফল্য: গর্বিত মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিরা, গর্বিত আলীনগরবাসী বঙ্গবীর ওসমানীকে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করায় অভিনন্দন ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষ থেকে  ভান্ডারিয়ায় শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে সিএমএইচে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাউদকান্দির আলোর দিশারী মানবসেবা সংগঠনের দুইশো পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ সেহলী পারভীনকে মাহে রমজানের প্রার্থনা বার্তা পাঠালেন রোজার কিছু আধুনিক মাসায়ে

রিফাত চৌধুরীর অসাধারণ সাফল্য: গর্বিত মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিরা, গর্বিত আলীনগরবাসী

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক গর্বের নাম রিফাত চৌধুরী। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ নিঃস্বার্থ সমাজ সেবক  শাহজাহান চৌধুরীর এই গর্বিত সন্তান নিজের মেধা, কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ তিনটি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান General Motors (GM), Ford এবং Chrysler-এ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।

 

শৈশব থেকে স্বপ্নের পথে

রিফাত চৌধুরী বাংলাদেশে তার প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার পর পরিবারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বসবাস শুরু করেন। ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল, যা তাকে Software Engineering-এ উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে। মিশিগানকে বলা হয় “মোটর সিটি”, যেখানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলো অবস্থিত। ছোট ভাই রিফাত যখন মিশিগানে আসে, তখন তার বড় ভাই তাকে GM, Ford এবং Chrysler-এর গৌরবময় ইতিহাস ও প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেন।

 

GM-এর সদর দপ্তরের সামনে দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতের সময় রিফাত মনে মনে স্বপ্ন দেখতেন—একদিন এই প্রতিষ্ঠানের একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করবেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি নিজেকে ধাপে ধাপে প্রস্তুত করতে থাকেন, কৃতিত্বের সাথে Software Engineering ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং গাড়ি শিল্পে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেন।

 

সফলতার নতুন দিগন্ত

একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার পর গত দুই বছর ধরে Chrysler-এ গাড়ির ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত (Direct Employee) হয়ে কাজ করছেন রিফাত। সম্প্রতি তার অসাধারণ দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ GM এবং Ford থেকেও চাকরির প্রস্তাব এসেছে।

 

GM থেকে গাড়ির ডেভেলপমেন্ট ইন্টিগ্রেশন অপারেশনস ইঞ্জিনিয়ার, আর Ford থেকে ডিজাইন রিলিজ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরাসরি নিয়োগের অফার পেয়েছেন তিনি। মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি নিয়োগের এই বিরল অর্জন রিফাতের কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিভার উজ্জ্বল প্রমাণ।

 

এক অনুপ্রেরণার নাম রিফাত চৌধুরী

রিফাত চৌধুরীর এই সাফল্য শুধু তার একার নয়, এটি মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। তার অদম্য প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাস আজ তাকে এই অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা, যারা স্বপ্ন দেখে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার।

 

আলীনগরের এই কৃতি সন্তান প্রমাণ করেছেন—ইচ্ছাশক্তি, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। তার এই অসামান্য সাফল্য শুধু বাংলাদেশি প্রবাসীদের গর্ব নয়, বরং গোটা বাংলাদেশের জন্যও এক অনন্য অর্জন।

 

রিফাত চৌধুরীর জন্য রইলো শুভকামনা। তার এই পথচলা ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ হোক, নতুন উচ্চতায় পৌঁছাক—এটাই আমাদের কামনা।

ট্যাগ:

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

আইবিসিএফ টাস্ক কমিটির ৪২তম সভা অনুষ্ঠিত

রিফাত চৌধুরীর অসাধারণ সাফল্য: গর্বিত মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিরা, গর্বিত আলীনগরবাসী

আপডেট সময়: ২৪ ঘন্টা আগে

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক গর্বের নাম রিফাত চৌধুরী। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ নিঃস্বার্থ সমাজ সেবক  শাহজাহান চৌধুরীর এই গর্বিত সন্তান নিজের মেধা, কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ তিনটি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান General Motors (GM), Ford এবং Chrysler-এ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।

 

শৈশব থেকে স্বপ্নের পথে

রিফাত চৌধুরী বাংলাদেশে তার প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার পর পরিবারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বসবাস শুরু করেন। ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তির প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল, যা তাকে Software Engineering-এ উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে। মিশিগানকে বলা হয় “মোটর সিটি”, যেখানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলো অবস্থিত। ছোট ভাই রিফাত যখন মিশিগানে আসে, তখন তার বড় ভাই তাকে GM, Ford এবং Chrysler-এর গৌরবময় ইতিহাস ও প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেন।

 

GM-এর সদর দপ্তরের সামনে দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতের সময় রিফাত মনে মনে স্বপ্ন দেখতেন—একদিন এই প্রতিষ্ঠানের একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করবেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি নিজেকে ধাপে ধাপে প্রস্তুত করতে থাকেন, কৃতিত্বের সাথে Software Engineering ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং গাড়ি শিল্পে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেন।

 

সফলতার নতুন দিগন্ত

একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার পর গত দুই বছর ধরে Chrysler-এ গাড়ির ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত (Direct Employee) হয়ে কাজ করছেন রিফাত। সম্প্রতি তার অসাধারণ দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ GM এবং Ford থেকেও চাকরির প্রস্তাব এসেছে।

 

GM থেকে গাড়ির ডেভেলপমেন্ট ইন্টিগ্রেশন অপারেশনস ইঞ্জিনিয়ার, আর Ford থেকে ডিজাইন রিলিজ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরাসরি নিয়োগের অফার পেয়েছেন তিনি। মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি নিয়োগের এই বিরল অর্জন রিফাতের কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিভার উজ্জ্বল প্রমাণ।

 

এক অনুপ্রেরণার নাম রিফাত চৌধুরী

রিফাত চৌধুরীর এই সাফল্য শুধু তার একার নয়, এটি মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। তার অদম্য প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাস আজ তাকে এই অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা, যারা স্বপ্ন দেখে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার।

 

আলীনগরের এই কৃতি সন্তান প্রমাণ করেছেন—ইচ্ছাশক্তি, অধ্যবসায় ও আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। তার এই অসামান্য সাফল্য শুধু বাংলাদেশি প্রবাসীদের গর্ব নয়, বরং গোটা বাংলাদেশের জন্যও এক অনন্য অর্জন।

 

রিফাত চৌধুরীর জন্য রইলো শুভকামনা। তার এই পথচলা ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ হোক, নতুন উচ্চতায় পৌঁছাক—এটাই আমাদের কামনা।