, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
আইবিসিএফ টাস্ক কমিটির ৪২তম সভা অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সমবায় আন্দোলনের নেতা মোশাররাফ হোসেন শোনালেন গ্রামীণ নারীদের স্বনির্ভরতার গল্প রিফাত চৌধুরীর অসাধারণ সাফল্য: গর্বিত মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিরা, গর্বিত আলীনগরবাসী বঙ্গবীর ওসমানীকে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করায় অভিনন্দন ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষ থেকে  ভান্ডারিয়ায় শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে সিএমএইচে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাউদকান্দির আলোর দিশারী মানবসেবা সংগঠনের দুইশো পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ সেহলী পারভীনকে মাহে রমজানের প্রার্থনা বার্তা পাঠালেন রোজার কিছু আধুনিক মাসায়ে

বন্দিদের মুক্তি দিতে হামাসকে ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তা’

ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, আমি ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় সবকিছু দিচ্ছি যাতে তারা কাজটা শেষ করতে পারে।

যদি আমার কথা না শোনো, তাহলে হামাসের কোনো সদস্যই নিরাপদ থাকবে না।
এই বক্তব্য তিনি দিয়েছেন এমন এক সময়ে, যখন হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে যে তারা সরাসরি হামাসের সঙ্গে বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছে।

নিজের পোস্টে ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া না হয়, তাহলে এর ‘ভয়াবহ মূল্য দিতে হবে’। যদিও তিনি স্পষ্ট করে জানাননি, ইসরায়েলকে কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সব বন্দিদের এখনই ছেড়ে দাও, পরে নয়। আর যাদের হত্যা করেছ, তাদের মরদেহ সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে দাও। নাহলে তোমাদের জন্য সব শেষ হয়ে যাবে।

হামাসের নেতৃত্বের প্রতি তিনি বলেন, এখনই গাজা ছেড়ে যাও, যতক্ষণ তোমাদের সুযোগ আছে।

এছাড়া, গাজার সাধারণ জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের জন্য এক সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, তবে তা তখনই সম্ভব, যদি তোমরা বন্দিদের আটকে না রাখো। যদি তা করো, তাহলে শেষ হয়ে যাবে!

এদিকে, এক ইসরায়েলি সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে মুক্তিপ্রাপ্ত আটজন বন্দির সাক্ষাতের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।

সংক্ষিপ্ত সেই ভিডিওতে, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি ওমর শেম তভ বলেন, আপনাকে ঈশ্বর পাঠিয়েছেন তাদের মুক্ত করতে। আপনি সত্যিই সাহায্য করতে পারেন। আপনার সেই ক্ষমতা আছে।

এরপর, আরেক বন্দি না’মা লেভি বলেন, যখন আমরা বন্দি ছিলাম, তখন আপনিই ছিলেন আমাদের আশা। আর এখন, আপনি তাদের (যারা এখনো বন্দি) একমাত্র আশার আলো।

ট্রাম্প তখন প্রশ্ন করেন, তাহলে কি তোমরা মনে করেছিলে, আমি না আসা পর্যন্ত তোমাদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই?

একসঙ্গে কয়েকজন বন্দি বলেন, ‘না’।

ইসরায়েল জানিয়েছে যে এখনো ৫৯ জন বন্দি গাজায় আটকা রয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটককৃতদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকরাও রয়েছেন।

এদিকে একটি ফিলিস্তিনি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, হামাস ও এক মার্কিন কর্মকর্তার মধ্যে দুটি সরাসরি বৈঠক হয়েছে, যা বেশ কয়েকবার যোগাযোগের পর অনুষ্ঠিত হয়। কাতারে দুই পক্ষের বৈঠকে মার্কিন বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধের অবসান নিয়ে একটি বড় পরিসরের চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা

ট্যাগ:

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

আইবিসিএফ টাস্ক কমিটির ৪২তম সভা অনুষ্ঠিত

বন্দিদের মুক্তি দিতে হামাসকে ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তা’

আপডেট সময়: ১১:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, আমি ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় সবকিছু দিচ্ছি যাতে তারা কাজটা শেষ করতে পারে।

যদি আমার কথা না শোনো, তাহলে হামাসের কোনো সদস্যই নিরাপদ থাকবে না।
এই বক্তব্য তিনি দিয়েছেন এমন এক সময়ে, যখন হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে যে তারা সরাসরি হামাসের সঙ্গে বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছে।

নিজের পোস্টে ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া না হয়, তাহলে এর ‘ভয়াবহ মূল্য দিতে হবে’। যদিও তিনি স্পষ্ট করে জানাননি, ইসরায়েলকে কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সব বন্দিদের এখনই ছেড়ে দাও, পরে নয়। আর যাদের হত্যা করেছ, তাদের মরদেহ সঙ্গে সঙ্গে ফিরিয়ে দাও। নাহলে তোমাদের জন্য সব শেষ হয়ে যাবে।

হামাসের নেতৃত্বের প্রতি তিনি বলেন, এখনই গাজা ছেড়ে যাও, যতক্ষণ তোমাদের সুযোগ আছে।

এছাড়া, গাজার সাধারণ জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের জন্য এক সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, তবে তা তখনই সম্ভব, যদি তোমরা বন্দিদের আটকে না রাখো। যদি তা করো, তাহলে শেষ হয়ে যাবে!

এদিকে, এক ইসরায়েলি সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে মুক্তিপ্রাপ্ত আটজন বন্দির সাক্ষাতের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।

সংক্ষিপ্ত সেই ভিডিওতে, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি ওমর শেম তভ বলেন, আপনাকে ঈশ্বর পাঠিয়েছেন তাদের মুক্ত করতে। আপনি সত্যিই সাহায্য করতে পারেন। আপনার সেই ক্ষমতা আছে।

এরপর, আরেক বন্দি না’মা লেভি বলেন, যখন আমরা বন্দি ছিলাম, তখন আপনিই ছিলেন আমাদের আশা। আর এখন, আপনি তাদের (যারা এখনো বন্দি) একমাত্র আশার আলো।

ট্রাম্প তখন প্রশ্ন করেন, তাহলে কি তোমরা মনে করেছিলে, আমি না আসা পর্যন্ত তোমাদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই?

একসঙ্গে কয়েকজন বন্দি বলেন, ‘না’।

ইসরায়েল জানিয়েছে যে এখনো ৫৯ জন বন্দি গাজায় আটকা রয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটককৃতদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকরাও রয়েছেন।

এদিকে একটি ফিলিস্তিনি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, হামাস ও এক মার্কিন কর্মকর্তার মধ্যে দুটি সরাসরি বৈঠক হয়েছে, যা বেশ কয়েকবার যোগাযোগের পর অনুষ্ঠিত হয়। কাতারে দুই পক্ষের বৈঠকে মার্কিন বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধের অবসান নিয়ে একটি বড় পরিসরের চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা