, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
গাইবান্ধায় ধর্ষণের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ ভান্ডারিয়ায় নির্বাচন কমিশনে এনআইডি রাখার দাবীতে অবস্থান কর্মসূচী ও মানববন্ধন বগুড়ায় ট্রাকচাপায় তিন বন্ধু নিহত আইবিসিএফ টাস্ক কমিটির ৪২তম সভা অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সমবায় আন্দোলনের নেতা মোশাররাফ হোসেন শোনালেন গ্রামীণ নারীদের স্বনির্ভরতার গল্প রিফাত চৌধুরীর অসাধারণ সাফল্য: গর্বিত মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিরা, গর্বিত আলীনগরবাসী বঙ্গবীর ওসমানীকে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করায় অভিনন্দন ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষ থেকে  ভান্ডারিয়ায় শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখতে সিএমএইচে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যমুনার চরে আকাশে উড়লো জুলহাসের উড়োজাহাজ

প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান না থাকলেও অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রমে অসম্ভবও সম্ভব হয়ে ওঠে তার জলন্ত প্রমাণ মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলের জুলহাস মোল্লা। তিনি নিজ প্রচেষ্টায় উড়োজাহাজ তৈরি করে তা আকাশে সফলভাবে উড়িয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরের দিকে শিবালয় উপজেলার যমুনার চরে জুলহাস তার তৈরি উড়োজাহাজ আকাশে উড্ডয়ন করেন। জুলহাস মোল্লা বর্তমান শিবালয় উপজেলার ষাটঘড় তেওতা এলাকার জলিল মোল্লার ছেলে।

জানা যায়, জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকার নদী তীরবর্তী এলাকায় বাড়ি ছিল জুলহাস মোল্লার। তবে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় তাদের বসত বাড়ি। পরে শিবালয় উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী ষাটঘড় তেওতা এলাকায় নতুন করে বসতি স্থাপন করে তার পরিবার।

ছয় ভাই বোনের মধ্যে জুলহাস পঞ্চম। এসএসসি পাশের পর টাকার অভাবে লেখাপড়ার ইতি টেনে ঢাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করছেন ২৮ বছরের এই তরুণ। দীর্ঘ চার বছর পরিশ্রমের পর উড়োজাহাজ তৈরি করেছেন মানিকগঞ্জের এই তরুণ। শুধু তৈরিই নয়, নিজেই সেটি সফলভাবে আকাশে উড়িয়েছেন। শিবালয় উপজেলার যমুনার চরে তার বিমানটি প্রায় ৫০ ফুট ওপরে উঠতে সক্ষম হয়। তার এই সাফল্য দেখতে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে হাজির হয়েছিলেন।

জুলহাসের বাবা জলিল মোল্লা বলেন, ছোট সময় থেকেই জুলহাস কোনো না কোনো জিনিস তৈরি করার জন্য চেষ্টা করতো। তবে গত কয়েক বছর ধরে উড়োজাহাজ তৈরির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছিল সে। প্রতি বছর যমুনার চরে উড়োজাহাজ উড়ানোর চেষ্টা করে আসছিল সে। কয়েকদিন আগে প্রথমবারের মতো উড়োজাহাজটি উড়াতে সক্ষম হয় সে।

তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা বলেন, প্রথমে রিমোর্ট কন্ট্রোল উড়োজাহাজ বানিয়ে আকাশে উড়ানোর পর থেকে ইচ্ছা জাগে নিজে উড়োজাহাজ তৈরি করে আকাশে উড়াবো। এই চিন্তা থেকেই উড়োজাহাজ তৈরি জন্য গবেষণা শুরু করি। তিন বছর গবেষণা আর এক বছর উড়োজাহাজটি তৈরি করতে লেগেছে। দীর্ঘ চার বছরের পরিশ্রমের পর আজকে আমি সফল হয়েছি। নিজের তৈরি করা উড়োজাহাজে নিজেই পাইলট হয়ে আকাশে উড়েছি।

জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, জুলহাসের গবেষণা কাজে সরকার সহযোগিতা করবে। প্রাথমিকভাবে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করে তাকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ:

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

গাইবান্ধায় ধর্ষণের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ

যমুনার চরে আকাশে উড়লো জুলহাসের উড়োজাহাজ

আপডেট সময়: ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান না থাকলেও অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রমে অসম্ভবও সম্ভব হয়ে ওঠে তার জলন্ত প্রমাণ মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলের জুলহাস মোল্লা। তিনি নিজ প্রচেষ্টায় উড়োজাহাজ তৈরি করে তা আকাশে সফলভাবে উড়িয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরের দিকে শিবালয় উপজেলার যমুনার চরে জুলহাস তার তৈরি উড়োজাহাজ আকাশে উড্ডয়ন করেন। জুলহাস মোল্লা বর্তমান শিবালয় উপজেলার ষাটঘড় তেওতা এলাকার জলিল মোল্লার ছেলে।

জানা যায়, জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকার নদী তীরবর্তী এলাকায় বাড়ি ছিল জুলহাস মোল্লার। তবে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় তাদের বসত বাড়ি। পরে শিবালয় উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী ষাটঘড় তেওতা এলাকায় নতুন করে বসতি স্থাপন করে তার পরিবার।

ছয় ভাই বোনের মধ্যে জুলহাস পঞ্চম। এসএসসি পাশের পর টাকার অভাবে লেখাপড়ার ইতি টেনে ঢাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করছেন ২৮ বছরের এই তরুণ। দীর্ঘ চার বছর পরিশ্রমের পর উড়োজাহাজ তৈরি করেছেন মানিকগঞ্জের এই তরুণ। শুধু তৈরিই নয়, নিজেই সেটি সফলভাবে আকাশে উড়িয়েছেন। শিবালয় উপজেলার যমুনার চরে তার বিমানটি প্রায় ৫০ ফুট ওপরে উঠতে সক্ষম হয়। তার এই সাফল্য দেখতে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে হাজির হয়েছিলেন।

জুলহাসের বাবা জলিল মোল্লা বলেন, ছোট সময় থেকেই জুলহাস কোনো না কোনো জিনিস তৈরি করার জন্য চেষ্টা করতো। তবে গত কয়েক বছর ধরে উড়োজাহাজ তৈরির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছিল সে। প্রতি বছর যমুনার চরে উড়োজাহাজ উড়ানোর চেষ্টা করে আসছিল সে। কয়েকদিন আগে প্রথমবারের মতো উড়োজাহাজটি উড়াতে সক্ষম হয় সে।

তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস মোল্লা বলেন, প্রথমে রিমোর্ট কন্ট্রোল উড়োজাহাজ বানিয়ে আকাশে উড়ানোর পর থেকে ইচ্ছা জাগে নিজে উড়োজাহাজ তৈরি করে আকাশে উড়াবো। এই চিন্তা থেকেই উড়োজাহাজ তৈরি জন্য গবেষণা শুরু করি। তিন বছর গবেষণা আর এক বছর উড়োজাহাজটি তৈরি করতে লেগেছে। দীর্ঘ চার বছরের পরিশ্রমের পর আজকে আমি সফল হয়েছি। নিজের তৈরি করা উড়োজাহাজে নিজেই পাইলট হয়ে আকাশে উড়েছি।

জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, জুলহাসের গবেষণা কাজে সরকার সহযোগিতা করবে। প্রাথমিকভাবে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করে তাকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।