
দীর্ঘদিন পরে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার দুর্গম নানাক্রম-পলিপাড়া-বুড়িঘাট সড়কের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেই বদলে যাবে অত্র এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের জীবনমান। নানিয়ারচর উপজেলার সাথে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ থাকলেও উপজেলা বা জেলার সাথে নানাক্রম-পলিপাড়া-বুড়িঘাট এলাকার উন্নত যোগাযোগ না থাকায় জনভোগান্তি ছিল চরমে। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় নির্মিত হচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। ফলে যাতায়াত কিংবা পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছেন অত্রাঞ্চলের প্রায় ৫হাজার পরিবার।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, এই সড়কটি হওয়ায় অত্র এলাকার স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা, কৃষক কিংবা সাধারণ জনগণ অত্যন্ত খুশি প্রকাশ করছে।
স্থানীয় প্রাক্তন ইউপি সদস্য অংসইপ্রু মারমা জানান, কুকুরমারা হতে বুড়িঘাট ৮নং টিলা পর্যন্ত এই সড়কটি হওয়ায় আমরা এর সুফল ভোগ করতে পারব। স্থানীয় কৃষক, স্কুল পড়ুয়াসহ সকল শ্রেণীর মানুষ এতে উপকৃত হবেন বলেও জানান।
জানতে চাইলে স্থানীয় জহিরুল ইসলাম জানান, এই সড়কটি হওয়ার ফলে বুড়িঘাট থেকে নানিয়ারচর যেতে ১৪কিলোমিটার সড়ক কমে গেছে। এর ফলে সময় ও অর্থ কম ব্যয় হবে। বুড়িঘাট সেনা ক্যাম্পের সামনে এবং নানাক্রম থেকে ইসলামপুর পর্যন্ত সড়কটি যদি পুর্ননির্মাণ করা হয় তবে আরো ভালো ভাবে স্থানীয়রা যাতায়াত করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় যুবক বাবলু মারমা জানায়, এই এলাকার সাধারণ কৃষকরা কলা, আদা, হলুদ, আনারসসহ উৎপাদিত পাহাড়ি পণ্য পায়ে হেঁটেই নিয়ে হাট-বাজারে যেতেন। এখন এই সড়ক হওয়ায় বাড়ি পর্যন্ত গাড়ি যাচ্ছে।
দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী শুভ মারমা বলেন, আমরা আগে অনেক দূর ঘুরে স্কুলে যেতে হতো। এখন এই সড়ক ব্যবহার করে আমরা স্কুলে যেতে পারছি। এটা অনেক আনন্দের।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক কবির হোসেন জানান, “এই সড়কটির ফলে নানিয়ারচরের সাথে বুড়িঘাটের যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধা হবে। এতে করে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই নানিয়ারচর যাওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিবহন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হবে।”
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, “পার্বত্য চট্রগ্রাম পল্লি উন্নয়ন প্রকল্প (সিএইচটি ৩) এর আওতায় এই সড়কটি নির্মিত হচ্ছে। খুব দ্রুত এই সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সড়কটি নির্মাণের ফলে স্থানীয়দের ভোগান্তি শেষ হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।