, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শাজাহানপুরে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করা সেই খালু গ্রেপ্তার ঢাবি’র পরিহারযোগ্য মৃত্যু রোধে আন্তর্জাতিক সচেতনতা দিবস পালিত গাইবান্ধায় ধর্ষণের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ ভান্ডারিয়ায় নির্বাচন কমিশনে এনআইডি রাখার দাবীতে অবস্থান কর্মসূচী ও মানববন্ধন বগুড়ায় ট্রাকচাপায় তিন বন্ধু নিহত আইবিসিএফ টাস্ক কমিটির ৪২তম সভা অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সমবায় আন্দোলনের নেতা মোশাররাফ হোসেন শোনালেন গ্রামীণ নারীদের স্বনির্ভরতার গল্প রিফাত চৌধুরীর অসাধারণ সাফল্য: গর্বিত মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিরা, গর্বিত আলীনগরবাসী বঙ্গবীর ওসমানীকে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করায় অভিনন্দন ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষ থেকে  ভান্ডারিয়ায় শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রামেক হাসপাতালে প্রথম দিনই দুর্ভোগ

সারাদেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে।

পাঁচ দফা দাবিতে আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

আর চিকিৎসকদের কমপ্লিট শাটডাউনের প্রথম দিনই সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন রামেক হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, তাদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, এমবিবিএস বিডিএস ব্যতিত কেউ আর ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না, বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে, স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন করতে হবে, এমটিএস ও নিম্নমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে এবং চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির সাথে একাত্মতা জানিয়ে আজ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরাও।

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কলেজের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করলে একাত্মতা ঘোষণা করে এতে তারাও অংশ নেন। মানববন্ধন কর্মসূচি ছাড়াও বিক্ষোভ মিছিল করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, তাদের ঘোষিত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখা হবে।

কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে রামেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এটিএম আখেরুজ্জামান ও ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ডা. ইফতেখার রসুল শিমুলসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। তারা বলছেন ডাক্তাররা তারা তাদের আন্দোলন করবেন উচ্চপর্যায়ে টেবিলে। হাসপাতালে আমরা সাধারণ মানুষ সেবা নিতে এসেছি, সেবা নিতে চাই। এভাবে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করলে হাসপাতালের মতো একটি জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের রোগীরা কোথায় যাবে? চিকিৎসা না পেলে প্রতিনিয়তই রোগী মারা যাবে!

রামেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডগুলোতে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক নেই। এছাড়া ওয়ার্ডে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না সিনিয়র চিকিৎসকদেরও।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহম্মদ জানিয়েছেন হাসপাতালে ৬০টি ওয়ার্ড রয়েছে। আর ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসার কোনো ব্যাঘাতই ঘটছে না। কারণ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ২৪০ জন। তারা না থাকায় মিড লেভেলের চিকিৎসক ও বেসরকারি অনারারি মেডিকেল কর্মকর্তাদের দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে তেমন সমস্যা হচ্ছে না।

ট্যাগ:

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শাজাহানপুরে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করা সেই খালু গ্রেপ্তার

রামেক হাসপাতালে প্রথম দিনই দুর্ভোগ

আপডেট সময়: ১২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

সারাদেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে।

পাঁচ দফা দাবিতে আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

আর চিকিৎসকদের কমপ্লিট শাটডাউনের প্রথম দিনই সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন রামেক হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, তাদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, এমবিবিএস বিডিএস ব্যতিত কেউ আর ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন না, বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে, স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন করতে হবে, এমটিএস ও নিম্নমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে এবং চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির সাথে একাত্মতা জানিয়ে আজ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরাও।

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কলেজের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করলে একাত্মতা ঘোষণা করে এতে তারাও অংশ নেন। মানববন্ধন কর্মসূচি ছাড়াও বিক্ষোভ মিছিল করেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, তাদের ঘোষিত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখা হবে।

কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে রামেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এটিএম আখেরুজ্জামান ও ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব ডা. ইফতেখার রসুল শিমুলসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। তারা বলছেন ডাক্তাররা তারা তাদের আন্দোলন করবেন উচ্চপর্যায়ে টেবিলে। হাসপাতালে আমরা সাধারণ মানুষ সেবা নিতে এসেছি, সেবা নিতে চাই। এভাবে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করলে হাসপাতালের মতো একটি জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের রোগীরা কোথায় যাবে? চিকিৎসা না পেলে প্রতিনিয়তই রোগী মারা যাবে!

রামেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডগুলোতে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক নেই। এছাড়া ওয়ার্ডে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না সিনিয়র চিকিৎসকদেরও।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহম্মদ জানিয়েছেন হাসপাতালে ৬০টি ওয়ার্ড রয়েছে। আর ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসার কোনো ব্যাঘাতই ঘটছে না। কারণ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক ২৪০ জন। তারা না থাকায় মিড লেভেলের চিকিৎসক ও বেসরকারি অনারারি মেডিকেল কর্মকর্তাদের দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে তেমন সমস্যা হচ্ছে না।